top of page
Search

সুড়ঙ্গ - একেই বলে ব্লকবাস্টার

  • Writer: Shakib Chowdhury
    Shakib Chowdhury
  • May 25, 2024
  • 2 min read

। রেটিং - দশে ৮.৫ ।



 

আফরান নিশোর মাসুদ চরিত্র একটা গ্রামে ইলেকট্রিক রিপেয়ার দোকান চালায়। সেখানে একদিন হঠাৎ করে তার চোখে পরে তমা মিরজার ময়না চরিত্র। দেখা মাত্রই চরম প্রেম। এবং সাথে সাথে বিয়ে। এবং এই বিয়ে থেকেই যত ঝামেলা শুরু। কারণ ময়না হচ্ছে চরম বৈষয়িক। সারাক্ষন কাপর চোপর গয়নাগাটি নিয়ে ব্যস্ত। যেটা মাসুদের মতো একটা ছোট্ট দোকানদারের জন্য অনেক ঝামেলা। মাসুদ তার বউকে খুশি করতে গিয়ে হিমশিম খায়। একটা লাভ স্টোরি রূপান্তর হয় একটা ক্রাইম থ্রিলারে।

 

দ্যা গুড - নির্মাতা রায়হান রাফি প্রথমেই প্রেম ও বিয়ে দিয়ে গল্পের মূল জায়গায় চলে আসেন, যেটা হচ্ছে মাসুদের ময়নার জন্য অন্ধ প্রেম। এর পর থেকে ছবিতে যাই হয় সেটার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এই প্রেম। এবং অনেক কিছুই হয়, যার সবই খুবই ইন্টারেস্টিং। রায়হান রাফি প্রচণ্ড দক্ষতার সাথে এই গল্পটা উপস্থাপনা করেছেন। ছবিটার পরিচালনা, ক্যামেরার কাজ, আর্ট ডিরেকশন, গল্প, চিত্রনাট্য, কাস্টিং, অভিনয়, এডিটিং, সাউন্ড ডিজাইন সবই উচু মানের।

 

নিশো বরাবর আমার প্রিয় অভিনেতা। আমি মনে করি বাংলাদেশের লিড ক্যারেকটার হিসাবে সে অদ্বিতীয়। তাই আমি ধরেই নিয়েছিলাম তার অভিনয় আমার ভালো লাগবে। এবং তাই হয়েছে। নিশো খুব সাবলীল ভাবে তার সম্পূর্ণ অ্যাক্টিং রেইঞ্জ দেখাতে পেরেছেন। কমেডি এবং ড্রামা, দুটোই দারুণ করেছেন। ময়না হিসাবে তমা মিরজা ভালো করেছেন। মনোয়ার সুন্দর করেছেন। আর পুলিশ অফিসার হিসাবে ছোট রোলে তাক লাগিয়েছেন শহিদুজ্জামান সেলিম। অন্য কোন ইউনিভার্সে হয়ত এই পুলিশের রোলটা পেতেন ফুজলুর রহমান বাবু। যেটা হলে অবশ্যই ভালো হতো, কিন্তু তাহলে সেলিম ভাইয়ের এই দারুণ পারফর্মেন্স থেকে আমরা বঞ্চিত হতাম। তাই ধন্যবাদ রায়হান রাফি সেলিম ভাইকে কাস্ট করার জন্য।

 

এই যে বলছি সব ছিল ইন্টারেস্টিং, সবার অভিনয় ভালো ছিল, সেলিম ভাই তাক লাগিয়েছেন - এ সবের মূল কারণ দারুণ চিত্রনাট্য। প্রত্যেকটা সংলাপ নিয়ে ভাবা হয়েছে দেখেই সবার অভিনয় ভালো হয়েছে, প্রত্যেকটা সিকুয়েন্স দেখতে ভালো লেগেছে। এবং এ সবকিছু সুন্দর করে একটা সুতায় বেধেছে দারুণ কারিগরি কারসাজি। এটাই নির্মাতা রায়হান রাফির ম্যাজিক। অসম্ভব ভালো পরিচালনা করেছেন। ফিল্মের প্রত্যেকটা বিষয় গুরুত্ত সহকারে খেয়াল রেখেছেন।

 

দ্যা ব্যাড - ব্যাড বলতে আসলে তেমন কিছু নেই। শুধু মনে হয়েছে যে তমা মিরজা যে সব সিকুয়েন্সে রেগে গিয়ে চিৎকার করেন, সেই অভিনয় স্টাইল একটু অন্যরকম হলে হয়ত আরো ভালো হতো। বাস্তব জীবনে আমরা যেভাবে চিৎকার করে ঝগড়া করি সেটা দেখতে ও শুনতে ভালো লাগে না। ফিল্মি ঝগড়া দেখতে শুনতে ভালো লাগতে হবে। এটা অবশ্যই আমার বেক্তিগত মতামত এবং এখানে কোন ভুল শুদ্ধর ব্যাপার নাই।

 

দ্যা অসহ্য - অসহ্য লাগার প্রশ্নই আসে না।

 

দ্যা শেষ কথা - আর দশ বছর পরেই রায়হান রাফিকে বাংলার একজন শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার হিসাবে গণ্য করা হবে। আমি খুব ভাগ্যবান যে তার এই জার্নি টু গ্রেটনেসে আমি একজন সাক্ষী।

 
 
 

Yorumlar


bottom of page